চাঁদা তুলে নিকাশি নালা সংস্কারে এলাকাবাসী
প্রতিবছর বর্ষার সময় নিকাশি নালা সংস্কারের অভাবে পুরো এলাকায় জল জমে থাকে। বারবার এনিয়ে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি। অবশেষে বর্ষার আগে চাঁদা তুলে নিকাশি নালা সংস্কারের উদ্যোগ নিল স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি চাঁচল গ্রামপঞ্চায়েতের থানাপাড়া বুথ এলাকার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
উল্লেখ্য, চাঁচল সদর লাগোয়া থানাপাড়া এলাকায় জলযন্ত্রণা দীর্ঘদিনের। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের দুয়ারে জল থই থই করে। ভারী বর্ষণে ঘরের ভিতরে পর্যন্ত জল ঢুকে যায়। গত কয়েক বছর ধরে এমন ছবি ধরা পড়েছে আমাদের মালদার ক্যামেরাতেও। অভিযোগ, নালা পরিষ্কারের দাবি নিয়ে বারবার পঞ্চায়েত দফতরে লিখিতভাবে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। অবশেষে বর্ষার আগে জল যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে চাঁদা তুলে নালা সাফাইয়ের কাজে নামল থানা পাড়া এলাকার মানুষ।
থানাপাড়ার বাসিন্দা সুদীপ দাস বলেন,
নাগরিক পরিসেবা কি তা আমরা জানতেই পারলাম না। এলাকায় নিকাশি নালা বেহাল থাকলেও পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও লাভ হয় না। প্রতিবছর বর্ষার সময় জমা জলের সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই এবার নিজেরায় চাঁদা তুলে নালা সাফাইয়ের কাজ শুরু করলাম।
চাঁচল-১ নম্বর ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আঞ্জারুল হকের দাবি, পঞ্চায়েত মানুষের কাছ থেকে কর আদায় করে কোনও পরিসেবা দিচ্ছে না। করের টাকা লুট করছে তৃণমূলের নেতারা। এরা শুধু টাকা লুট করে। মানুষের কাজ করে না। বাধ্য হয়ে চাঁদা তুলে মানুষকে নিকাশি নালা সাফাই করতে হচ্ছে।
যদিও চাঁচল-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। কাজ চলছে নিয়মিত। বিরোধীরা উন্নয়ন দেখেও ভুলভাল বকছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Kommentare