আয় বেড়েছে মালদা টাউন স্টেশনের, আরও নতুন ট্রেনের আশা
মালদা টাউন স্টেশন থেকে যাত্রী পরিসেবায় ভালো আয় হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। বিশেষত চলতি বছরের প্রথম থেকে শুরু হওয়া মালদা টাউন – বেঙ্গালুরু - মালদা টাউন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস থেকে মোটা টাকা অর্জন করেছে মালদা ডিভিশন। আর এই পরিসংখ্যানের নিরিখে মালদা টাউন স্টেশন থেকে আরও কিছু ট্রেন চালু হওয়ার আশা করতে শুরু করেছে জেলাবাসী।
মালদা জেলা থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ দক্ষিণ ভারতে কাজ করতে যান। শুধু পরিযায়ী শ্রমিক নন, চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে যান। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী অবশেষে গত বছর ৩০ ডিসেম্বর মালদা টাউন স্টেশন থেকে চালু হয় মালদা টাউন – বেঙ্গালুরু - মালদা টাউন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। দ্রুত গতির এই ট্রেন শুধু মালদাবাসীর নয় ভরসার হয়ে ওঠে গৌড়বঙ্গের যাত্রীদেরও।
রেল সূত্রে খবর, গত আর্থিক বছরে যাত্রী ভাড়া বাবদ মালদা টাউন স্টেশনের আয় ছিল ১৪৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা৷ চলতি আর্থিক বছরে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছ’মাসে সেই আয়ের পরিমাণ ৮০ কোটি টাকার বেশি৷ এই পরিসংখ্যান থেকেই রেলকর্তারা অনুমান করছেন যাত্রী ভাড়া বাবদ মালদা টাউন স্টেশনের আয় গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বাড়তে চলেছে। এখানেই শেষ নয়। গত আর্থিক বছরে টিকিট বিক্রির আয়ের হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের যে ২০০টি স্টেশন তালিকাভুক্ত ছিল, তার মধ্যে মালদা জেলার খালতিপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, সামসী ও গাজোল স্টেশনের নামও ছিল৷
পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের ম্যানেজার মণীশকুমার গুপ্ত জানান, মালদা ও সংলগ্ন এলাকার প্রচুর মানুষ কর্মসূত্রে, চিকিৎসা অথবা পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন বেঙ্গালুরু হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন৷ আগের তুলনায় এই যাত্রীদের সংখ্যা বেশ বেড়েছে৷ তাছাড়া মালদা থেকে সরাসরি বেঙ্গালুরুগামী অমৃত ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে৷ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও রাজধানী এক্সপ্রেসের স্টপেজ হয়েছে৷ এসবের জন্য এই স্টেশনের গুরুত্ব যেমন বেড়েছে, তেমনই টিকিট বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments