দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে সাবিনা-অধীর
মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেলসেতুর দুর্ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও জেলা জুড়ে শোকের ছায়া। নিহত শ্রমিকদের পরিবাররা মৃতদেহ ফিরে আসার অপেক্ষায় এখনও রাস্তার দিকে চেয়ে রয়েছেন। আগামীকালই প্রথম দফায় ১৮জন নিহত শ্রমিকের দেহ ফিরে আসবে বলে জানালেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। আগামীকালই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই পরিবারগুলির হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে প্রথমে ইংরেজবাজারের সাট্টারি ও পরে রতুয়া ২ ব্লকের কোকলামারি চৌদুয়ার গ্রামে যান সাবিনা ইয়াসমিন। সাবিনা বলেন, “মিজোরামের দুর্ঘটনার বিষয়টি জেলাশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজে তদারকি করছেন৷ নিহত শ্রমিকদের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীকাল মৃতদেহ ফিরে এলে আমরা পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার সরকারি সাহায্য তুলে দেব। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড নামে একটি প্রকল্প নিয়েছেন৷ এই প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের মাত্র ৪ শতাংশ সুদের হারে ৫ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে৷ এর মধ্যেও ২৫ শতাংশ সুদ সরকার দেবে৷ ঋণের গ্যারান্টারও সরকার থাকবে৷ শ্রমিকরা এই লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে সেই ব্যবসা কোটি টাকার গিয়ে দাঁড়াবে। বিরোধীদের কাজই হল রাজ্যে কাজ নেই, এটা প্রচার করা। বিরোধীদের কথায় কান না দিয়ে আমাদের মানুষের পাশে থাকতে হবে।”
অন্যদিকে, আজ নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মালদা এসেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরিও। মালদায় পা রেখেই প্রথমে তিনি চলে যান কোতওয়ালি ভবনে। সেখানে সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরির সঙ্গে কথা বলার পর তিনি রতুয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধীর বলেন,
“ভারতবর্ষের সমস্ত কোনায় বাংলার লোক কাজ করতে যান। আর মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসতে বলেন। আর এখানে এসে ঘুঘনি, চা, বিস্কুট, চপ বিক্রি করার নিদান দেন। উনি কখনই শিক্ষার ব্যবস্থা করার কথা, উন্নতমানের কাজের ব্যবস্থা করার কথা বলেন না। রাজ্য সরকার কখনও বলছে টাকা নেই তাই ডিএ দিতে পারছি না। আবার ভিনরাজ্যে শ্রমিকের মৃত্যু হলেই বলছে এখানে টাকার অভাব নেই, শ্রমিকরা বাংলায় ফিরে আসুক। পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক রোজগারের আশায় ভিনরাজ্যে ছুটে যাচ্ছে। তারাই সেখান থেকে টাকা এনে বাংলার অর্থনীতি চালাচ্ছে। অথচ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করোনার সময় শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর কোভিড স্পেশাল ট্রেন ঢুকতে দিতে বাধা দিয়েছিলেন।”
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments