শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। স্কুলে তখন সাফাই করছে পড়ুয়ারা। এই দৃশ্য নজরে পড়তেই পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করলেন বিডিও। তবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান তিনি। শনিবার সকালে এই ছবি ধরা পড়ল রতুয়া ১ ব্লকের বাজিতপুর সিএস প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে।
বাজিতপুর সিএস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২৪ জন ছাত্রছাত্রী। চারজন শিক্ষক ও একজন পার্শ্ব শিক্ষক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলে পঠনপাঠন হয় না। শিক্ষকরা সময় মতো আসেন না। উলটে পড়ুয়াদের দিয়ে স্কুল সাফাইয়ের কাজ করানো হয়। প্রতিদিনই এই ঘটনা ঘটে। এদিন সকালে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যাওয়ার পথে পড়ুয়াদের স্কুল সাফাই করতে দেখেন বিডিও। স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন দাস জানান, শিক্ষক-শিক্ষিকারা কখনই স্কুল সাফাই করতে পড়ুয়াদের নির্দেশ দেননি। পড়ুয়ারা নিজেরাই স্কুল সাফাই করে। স্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা সময় মতো স্কুলে আসেন। একই বক্তব্য স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা কমলা কুণ্ডুর। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা নিজেরাই সাফাই করে। সময়ের পরে স্কুলে আসার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও ভিত্তিহীন।
Comments