জন্মদিনে তেরঙা কেক কেটে বিতর্কে তৃণমূল নেত্রী
জাতীয় পতাকা দেশের সর্বভৌমত্বের প্রতীক। যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পতাকার সম্মান রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। সেই জাতীয় পতাকার প্রতীকী কেক তৈরি করে তা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কেককাটা ও খাওয়া জাতীয় পতাকারা অবমাননা। সেই ঘটনাই ঘটতে দেখা গেল রতুয়ায়।
উত্তর মালদার প্রথম সারির তৃণমূল নেত্রী শাহনাজ কাদরী। প্রয়াত রেলমন্ত্রী গনিখান চৌধুরির ভাগ্নি তিনি। শুক্রবার এই নেত্রীকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকার প্রতীকী কেক কাটতে দেখা গেল। সেই কেক কেটে খেতে দেখা গেল জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস, রতুয়ার তৃণমূল নেতা ইয়াসিন শেখ সহ জেলার বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতৃত্বকেও। এই ঘটনা ছড়িয়ে যেতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। জেলা তৃণমূলের প্রথমসারির নেতা দুলাল সরকারও ঘটনার নিন্দা করেছেন। তবে ঘটনায় যুক্ত থাকা তৃণমূল নেতৃত্বদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন শাহনাজ কাদরী৷ পরে তাঁকে রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের সংগঠন দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ জেলার বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়ায় উত্তরাধিকার অনুসরণ করেই রাজনীতিতে আসেন তিনি। উল্লেখ্য, তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূরের দিদি শাহনাজ।
এদিকে, এই ঘটনার পরে সরব হয়ে উঠেছে জেলা বিজেপি। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অজয় গাঙ্গুলি বলেন, জাতীয় পতাকার প্রতীকী কেক তৈরি করে, তা কেটে খাওয়া কখনই মেনে নেওয়া যায় না। জাতীয় পতাকার অবমাননা করা দেশকে অপমানিত করা। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের সকলে আইনানুগ শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে, জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা দুলাল সরকার বলেন, যারা এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা খুব অন্যায় কাজ করেছে। দলীয়ভাবে যদি কেউ জাতীয় পতাকার কেক বানিয়ে থাকেন তবে তা অপরাধ।
Comments