স্ত্রীকে প্রার্থী করতেই ঘাসফুলে ইয়াসিন, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে
গত বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে গিয়েছিলেন ইয়াসিন। দল পরিবর্তন না করলেও তাঁর স্ত্রী তথা জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পায়েল খাতুন নির্দল হিসেবে রতুয়ায় প্রার্থী হয়েছিলেন। এরপরেই শুধু কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারিত করা নয়, তাঁকেও তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ফের ঘাসফুল শিবিরে যোগদান শেখ ইয়াসিনের। রাজ্য নেতৃত্বের হাত থেকে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিলেও জেলা নেতৃত্ব তাঁকে দলে নিতে অস্বীকার করেছেন। এনিয়ে শাসকদলের অন্দরেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
শেখ ইয়াসিন জানান, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এক নেতা তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয় দেখাতে শুরু করেন৷ তাঁকে দুই বার নোটিশও ধরানো হয়৷ ভয়ে বাধ্য হয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু বিজেপিকে মন থেকে মানতে পারেনি৷ তাই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মুকুল রায়ের হাত ধরে ফের তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ক্ষমতা লোভী ইয়াসিন পঞ্চায়েত ভোটে স্ত্রীকে জোড়াফুলের প্রার্থী করতেই ফের শাসক শিবিরে যোগদান করেছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বকশি জানান, রাজ্য কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ইয়াসিনকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইয়াসিনকে দলে ফেরানোর ব্যাপারে তাঁরা কোনও অনুমোদন দেননি৷
বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত জানান, কে কোন দলে যাবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত৷ ইয়াসিনকে নিয়ে তো তৃণমূলের মধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এতে বিজেপির কোনও প্রভাব পড়বে না।
[ আরও খবরঃ অবৈধভাবে বাংলার মাটি যাচ্ছে বিহারের ইটভাটায়! ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments