কোয়রান্টিনে বাসি-গন্ধ খাবার! সেন্টারে এল পুলিশ
কোভিডের সংক্রমণ রুখতে ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা হয়েছে ইন্সটিটিউশনাল কোয়রান্টিনে। সরকারি কোয়রান্টিনে সেখানে নিম্নমানের বাসি খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে গতকাল বিক্ষোভ দেখাল পরিযায়ী শ্রমিকরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় হরিশ্চন্দ্রপুরে।
কোভিড সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন। দেশজুড়ে আটকে রয়েছেন মালদা জেলার হাজার-হাজার শ্রমিক। তবু, কোনও প্রকারে ঘরে ফিরে এসেছেন কিছু লোক। ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া এই পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ১৪ দিনের জন্য রাখা হচ্ছে কোয়রান্টিনে। জেলার বিভিন্নপ্রান্তে সরকারি স্কুল, কলেজগুলিতে কোয়রান্টিন সেন্টার খোলা হয়েছে। সেইরকমই এক কোয়রান্টিন সেন্টার করা হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর আইটিআই কলেজে।
[ আগের খবরঃ বাড়িতেই রমজান পালনের বার্তা, সম্মতি মসজিদের ]
অভিযোগ, সেই কোয়রান্টিন সেন্টারে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিম্নমানের ও বাসি খাবার দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে গতকাল রাতে পরিযায়ী শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খাবার দিতে আসা কর্মীরা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিগ্রহ করে বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সেন্টারের পাশের এলাকায় বসবাসকারী করুণা কুণ্ডু জানালেন, গতকাল রাতে আইটিআই কলেজ থেকে গণ্ডগোলের আওয়াজ আমরা শুনতে পাই। এরপরই হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকে প্রচুর পুলিশ আছে ওই কোয়রান্টিন সেন্টারে। আমরা সেসময় বুঝতে পারিনি ভিতরে কি হয়েছে।
এবিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, অভিযোগের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। গতকাল রাতের খাবার নিয়ে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। শ্রমিকদের পলিব্যাগে খাবার দেওয়ার কারণে খাবারে গন্ধ থাকছে। আজ থেকে সেই খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মারধরের যে অভিযোগ উঠেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comments