সামনে নির্বাচন, 'দুয়ারে' পৌঁছোচ্ছে মমতা সরকার
সারা রাজ্যের পাশাপাশি ইংরেজবাজার পুরসভাতেও ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হল। এদিন দুপুরে পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দুলাল সরকার এই কর্মসূচির সূচনা করেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের সমস্ত মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আজ সারা রাজ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সূচনা হল ইংরেজবাজার পুরসভাতেও। এই প্রকল্পের লক্ষ্য, যাতে সরকারের ১১টি সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের একটি পরিবারও বঞ্চিত না হয়। কেউ তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকলেও বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা বা প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদনও নেওয়া হবে এই সব শিবিরে। গতকাল নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যজুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ৪ রাউন্ডে ২০ হাজার শিবির খোলা হবে। আগামী দু’মাস ধরে চলবে এই শিবিরগুলি। নিচুতলার কর্মীদের সাথে সাথে বিডিও বা এসডিও পদমর্যাদার আধিকারিকরাও নিয়মিত আসবেন এই শিবিরগুলিতে। ‘রিয়েল টাইম মনিটরিং’ পদ্ধতিতে এই পরিসেবা দেওয়ার এই কাজ কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে, তা তদারকি করবে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি। খাস নবান্ন থেকে শিবিরের কাজের গতিপ্রকৃতি পোর্টালের মাধ্যমে নজরদারি করা হবে।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দুলাল সরকার জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সারা রাজ্য জুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে৷ ইংরেজবাজার পুরসভাতেও সেই কর্মসূচি শুরু করা হল৷ পুরসভার প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী যোজনার অধীনে নিয়ে আসা হবে৷ মানুষের নাম সংগ্রহ করে সরকারের কাছে পাঠানোর কাজ শুরু করা হল৷ দুয়ারে সরকার কর্মসূচির আওতায় পুরসভার নাগরিকরা রেশন কার্ড, অনগ্রসর জাতির শংসাপত্র, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ছাড়াও বেশ কিছু প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। পাশাপাশি ৬০ বছর পেরোনো প্রতিটি আদিবাসী মানুষকে জয় জোহর প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হচ্ছে৷ তবে এই সুবিধে পাওয়ার জন্য প্রত্যেকের শহরের ভোটার ও আধারকার্ড থাকতে হবে৷ পরবর্তীতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে নাম নথিভুক্ত করা হবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments