মহদিপুর আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ পাথর রপ্তানি। রপ্তানি বন্ধ থাকায় কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি বলে দাবি মহদিপুর এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের। বাংলাদেশের পুনরায় পাথর রপ্তানি করতে ডেপুটি হাইকমিশনারকে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত মহদিপুর এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন।
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মহদীপুর আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক পণ্যবাহী লরি যাতায়াত করে। পেঁয়াজ, আপেল সহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশ রপ্তানি হয় এই মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে পাথর রপ্তানির পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। জেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ী পাথর রপ্তানির সাথে যুক্ত হয়েছেন। তবে গত এক মাস ধরে বাংলাদেশে পাথর রপ্তানি বন্ধ হয়ে রয়েছে।
সোমবার এনিয়ে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক প্রসেনজিৎ ঘোষ, ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক সহ অন্যান্য সদস্যরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী বুধবার সংগঠনের উদ্যোগে প্রশাসনিক এবং মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের আধিকারিকদের নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা হবে। সংগঠনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক জানান, পাথর রপ্তানিতে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। বর্তমানে তিন থেকে চার হাজার গাড়ি লোডিং অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। এতে আরও বেশি করে সমস্যায় পড়েছেন গাড়ির মালিকরা। তাঁরা ইতিমধ্যে ডেপুটি হাইকমিশনার থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ইমপোর্টারদের সাথে কথা বলেছেন। আশা করছেন এই মাসের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।
সংগঠনের সেক্রেটারি ভূপতি মণ্ডল জানান, এক্সপোর্ট এবং ইমপোর্টারদের মিডিলম্যান হিসেবে কাজ করে মহদিপুর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। অনলাইন সিস্টেম চালুর পর থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক কমে এসেছে। পাথর রপ্তানিতে যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে তার জন্য পানামা দায়ী। এই কয়েকদিনে কয়েকশো কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comments