সংসার সামলাতে বাজারে জুতো সেলাই, উচ্চমাধ্যমিকে মেধাবী ছাত্রের সাফল্য
পরিবারের হাল ধরতে পড়াশোনার পাশাপাশি জুতো সেলাইয়ের কাজ শুরু করেছিলেন সঞ্জয়৷ সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগে ৯৬.৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়েছে সে৷ জেলাশাসক পাশে দাঁড়ানোয় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক চিন্তা থেকে খানিকটা হলেও মুক্ত হয়েছে ওই মেধাবী ছাত্র৷
চাঁচলের কনুয়া ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সঞ্জয় রবিদাস৷ উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগে ৪৫১ নম্বর পেয়েছে সঞ্জয়৷ তবে বাংলা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নম্বর তার আশানুরূপ হয় নি। এই দুটি বিষয় রিভিউ করাতে চায় সে। উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষাতে নিজের স্কুলে প্রথম হয়েছিল। বাংলা বা ইতিহাস নিয়ে কলেজে ভরতি হতে চাওয়া সঞ্জয়ের পছন্দ রবীন্দ্রভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তার এই সাফল্যের পথ মোটেই সহজ ছিল না৷ ২০০৩ সালে সঞ্জয়ের পিতৃবিয়োগ হয়৷ সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তার দাদা৷ আর্থিক উপার্জন করতে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন দাদা৷ লকডাউনে কাজ হারান তিনি৷ এরপরে সংসারের হাল ধরতে এগিয়ে আসতে হয় সঞ্জয়কে৷ পড়াশোনার পাশাপাশি জুতো সেলাইয়ের কাজ শুরু করে সে৷ চাঁচলের কনুয়া বাজারের মোড়ে জুতো সেলাইয়ের কাজ করে।
দু’বছর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও তাক লাগানো রেজাল্ট ছিল সঞ্জয়ের। শুক্রবার উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হতেই এলাকাবাসীর গর্ব হয়ে ওঠে সঞ্জয়৷ সঞ্জয়ের এই সাফল্যের কথা জানতে পেরেই জেলাশাসক সঞ্জয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ সমস্তরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পেয়েই উচ্চ শিক্ষার আশার আলো দেখতে শুরু করেছে সঞ্জয়৷
টপিকঃ #উচ্চমাধ্যমিক
Comentários