মুর্শিদাবাদের ঘর ছাড়া পরিবারের পাশে সুকান্ত, চালু করলেন কন্ট্রোল রুম
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- 2 days ago
- 2 min read
গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ। সামশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে এক গোষ্ঠীর মানুষদের ওপর একের পর এক অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। প্রাণ ভয়ে ওই এলাকার বহু মানুষ গঙ্গা নদী পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মালদা জেলার আশ্রয় শিবিরে। সোমবার ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের ওপর একাধিক তোপ দাগেন বালুরঘাটের সাংসদ।
এদিন প্রথমে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে মুর্শিদাবাদ ও মালদায় নির্যাতিতদের জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুমের উদবোধন করেন সুকান্ত। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, প্রথমে মোথাবাড়ি, তারপর ধুলিয়ানে একই ধরনের ঘটনা ঘটল৷ আরও অনেক জায়গায় এমন গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আক্রান্ত মানুষদের জন্য আমরা কন্ট্রোল রুম খুলেছি৷ কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে মানুষ যাতে এই কন্ট্রোল রুমে জানাতে পারেন তার জন্য এই উদ্যোগ৷ ওই এলাকা থেকে অনেকে প্রাণ বাঁচিয়ে মালদায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন। ওই এলাকার পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি শান্ত হয়নি। এদিকে, পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করছে। নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের দায়িত্ব পুলিশ সুপারের৷ কিন্তু পুলিশ সুপার ও থানার আইসি বদমাইশি করে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের প্রয়োজন সেখানে নিয়োগ করছে না৷

সুকান্ত আরও জানান, মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৫০ পরিবার মালদায় আশ্রয় নিয়েছিল৷ কিন্তু জেলা প্রশাসন ও পুলিশ হঠাৎ করে তাঁদের বাড়ি ফেরাতে উদগ্রীব হয়ে গিয়েছে৷ পুরো ঘটনা এখন সারা দেশের মানুষ জেনে গিয়েছে, তাই ওই পরিবারগুলিকে যেভাবে হোক বাড়ি ফেরানোর জন্য উপরমহল থেকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব কুমারকে নির্দেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন, যেনতেন প্রকারেণ রিফিউজি ক্যাম্প বন্ধ করতে হবে৷ অথচ সেখানে যুদ্ধক্ষেত্রের মতো পরিস্থিতি। মহিলাদের বলা হচ্ছে ইজ্জত দাও, তবে তোমার স্বামীর জীবন বাঁচবে। অবিলম্বে এসব বন্ধ না হলে আক্রান্তরা আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। প্রশাসন এসব বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে আমরা রাস্তায় নামব।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários