top of page

কংগ্রেস এখন ফুটো নৌকাঃ শুভেন্দু

আজ পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার তাঁতিপাড়া মাঠে জেলা তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ দুই শীর্ষ নেতা মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্লান ভাদুরি, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা পৌরসভার দুই চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ও কার্তিক ঘোষ, তৃণমূল নেতা আবু নাসের খান চৌধুরি, বিভূতিভূষণ ঘোষ, আশিস কুণ্ডু. সুমালা আগরওয়ালা, গায়েত্রী ঘোষ সহ আরও অনেকজন৷ এদিনের সম্মেলনে বিজেপি ছেড়ে পুরাতন মালদা পৌরসভার ৩ কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন৷ তাঁদের সঙ্গে শাসক শিবিরে এসেছেন এক নির্দল কাউন্সিলরও৷ তবে জেলায় না থাকার জন্য এদিন সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি৷ এদিনের সম্মেলনে হাজার তিনেক নেতা-কর্মী অংশ নেন৷


বাম-কংগ্রেস নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকেই প্রধান প্রতিপক্ষ বলে মনে করছে রাজ্যের শাসক দল৷একইসঙ্গে মালদা জেলায় আত্ম সমালোচনাতেও জোর দিচ্ছে নেতৃত্ব৷এদিন পুরাতন মালদায় দলের কর্মী সম্মেলনে এই বার্তাই দিলেন তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী৷ এখন থেকেই তাঁরা বুথে বুথে নিজেদের সংগঠন শক্ত করতে উপস্থিত তৃণমূল নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন৷

সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে আত্ম সমালোচনা করার পরামর্শ দেন৷ তিনি বলেন, রাজ্য জুড়ে তৃণমূল এগিয়ে গেলেও এই জেলায় তাঁরা কখনও তেমন সাফল্য পাননি৷ তাই এবার আর দল পরিবর্তন করে নয়, ভোটারদের পরিবর্তন করে ২০১৮ সালে তাঁরা মালদা জেলা পরিষদ দখল করবেন৷ শুভেন্দুবাবু এদিন বলেন, কংগ্রেস এখন ফুটো নৌকা৷ রায়গঞ্জ পৌর নির্বাচনেও তারা হেরেছে৷ আর সিপিএমের অস্তিত্ব এখন আর নেই৷ বামেরা এখন সব রাম হয়ে গিয়েছে৷ এরা সব একজোট হয়ে তৃণমূলকে হারানোর চেষ্টা করছে৷ বিজেপির বিস্তারক যোজনার উল্লেখ না করে তিনি বলেন, তারা এখন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে৷ তাই তৃণমূল কর্মীদেরও মানুষকে সত্যি কথাটা জানাতে হবে৷ তাঁরা জানেন, মানুষের আস্থা কিংবা আবেগ ধর্মকে নিয়েই৷ সেকারণেই মুখ্যমন্ত্রী সর্বধর্ম পালনের কথা বলেন৷ সেকথা সবাইকে মনে রাখতে হবে৷

মুকুলবাবু দলের জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, মালদা জেলায় দলের সংগঠন এখনও ভালো নয়৷ বিভিন্ন সরকারি পদে মুখ্যমন্ত্রী অনুকম্পা করে জেলার দলীয় নেতানেত্রীদের বসিয়েছেন৷ এই জেলার নেতৃত্ব যখন কলকাতা যান তখন অন্যান্য জেলার দলীয় নেতৃত্বও তাঁদের অনুকম্পার চোখে দেখেন৷ এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ মঞ্চে এলাম, বক্তৃতা দিলাম, আর চলে গেলাম করলে হবে না৷ সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে৷ কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে৷ তাতে অভিমান করে থাকলে চলবে না৷ প্রয়োজনে দলের উপর মহলকে তা জানাতে হবে৷ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের যা যা উন্নয়ন হয়েছে তা মানুষকে জানাতে হবে৷ তাতেই সাফল্য আসবে৷ কারণ এই জেলার মানুষ এতদিন কংগ্রেসের পাশে থাকলেও কংগ্রেস এখন শুকনো নদী৷ দেশের ২৭টি রাজ্যের মধ্যে মাত্র দুটিতে তারা ক্ষমতায় রয়েছে৷তারা এখন অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Kommentarer


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page