top of page

পৃথক কর্মসূচি নিয়ে মালদায় শুভেন্দু-দিলীপ

একই দিনে মালদায় গেরুয়া শিবিরের দুই রাজ্য নেতা। একদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ। দু’জনের গলাতেই শোনা গিয়েছে হিন্দুত্বের সুর। আর এনিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দুত্বের তাস খেলেই ময়দানে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির? তবে রাজ্যস্তরের দুই নেতা জেলায় একসঙ্গে থাকলেও দু’জনকে একসঙ্গে দেখা না যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।


হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার সকালে মোথাবাড়ি এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু জানান, মোথাবাড়িতে আসতে চেয়ে আমি তিনবার পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি৷ আমাকে ঢুকতে দেয়নি৷ আমাকে হাইকোর্টে যেতে হয়েছে৷ কোর্টের সব শর্ত মেনে সকাল ১০টায় আমি এখানে পৌঁছে গিয়েছি৷ সেদিনের ঘটনায় এখানে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছি৷ বাকি ক্ষতিপূরণও আমরা দেব৷ সরকার স্থানীয় মানুষদের নিরাপত্তা না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে৷



অন্যদিকে, শুক্রবার দুপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে অভিযানে সামিল হন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বিজেপির জেলা প্রশাসনিকভবন অভিযান কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকে প্রশাসনিকভবন চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। দুপুরে শহরের টাউন হল থেকে একটি মিছিল শহর পরিক্রমা করে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে পৌঁছয়। মিছিল জেলা প্রশাসনিকভবন চত্বরে পৌঁছতেই সামনে থাকা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান বিজেপি কর্মীরা। তবে সামনের বাঁশের ব্যারিকেড টপকাতে পারেননি তাঁরা।


সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিকদের বিজেপি এই দেশের নাগরিকত্ব দিয়েছে। এই মানুষগুলোকে নিয়ে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল এতদিন রাজনীতি করেছে। এই মানুষগুলোকে নাগরিকত্ব দেয়নি। অথচ রাজ্যে স্টেশন পোড়ানো, বাস ভেঙে দেওয়া, রেল লাইন উপড়ে দেওয়া, কারা করল? ওপার বাংলার রোহিঙ্গারা। তৃণমূল এদের রেশনকার্ড, আধারকার্ড, ভোটারকার্ড করে দিচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার কাঁটাতারের জন্য টাকা দিলেও রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না। কারণ, এদের দিয়েই ভোটের সময় রিগিং করবে, লুঠ করবে। এই সরকারের আমলে অশান্তি হচ্ছে। এই সরকারের ওপর হিন্দু সমাজের যে আস্থা নেই তা রামনবমীতে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে। এই সরকারের দুর্নীতির কারণে ২০ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। আরজিকরের ঘটনার পেছনেও দুর্নীতি রয়েছে। সেই দুর্নীতিকে চাপা দিতেই খুন ও ধর্ষণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন হিংসা-দুর্নীতি কিছুই বন্ধ হবে না। এই দুর্নীতির সরকার না সরানো পর্যন্ত লড়াই চলবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page