হঠাৎ ঝড়ে তছনছ আম, সরকারের শরণাপন্ন চাষি
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Apr 15, 2020
- 1 min read
Updated: Aug 11, 2020
আজ সকালের কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হল আমচাষের, দাবি জেলার চাষিদের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছে ম্যাঙ্গো মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
আজ সাতসকালে শুরু হয় কালবৈশাখী। ঝড়ের সঙ্গে চলতে থাকে শিলাবৃষ্টিও। ইংরেজবাজার, ওল্ড মালদা ও কালিয়াচকে ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে আমচাষের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি চাষিদের। আজকের কালবৈশাখীর পরে আমচাষ নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কায় রয়েছেন আমচাষিরা। উল্লেখ্য, দীর্ঘকালীন শীতে এই মরশুমে এমনিতেই দেরি করে আমের মুকুল এসেছিল৷ মুকুল থাকাকালীন কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কিছু এলাকায় মুকুলের ক্ষতি হয়।
মালদার এক আমচাষি বলেন, এবার এমনিতেই দেরি করে গাছে মুকুল এসেছিল৷ মুকুল থাকাকালীন টানা বৃষ্টিতে অনেক মুকুল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ তারপরেও বাগানে প্রায় ৪০ শতাংশ আম ধরেছিল৷ কিন্তু আজ সকালের কালবৈশাখীতে প্রায় সব আমই পড়ে গিয়েছে৷ এখন যা আম আছে, তাতে গোটা বাগানে এক কুইন্টাল আমও হবে না৷
[ আগের খবরঃ নষ্ট হচ্ছে আমের মুকুল, হতাশ মালদার চাষিরা ]
মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের উজ্জ্বল সাহা বলেন, কালবৈশাখীতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ এর আগে বৃষ্টির অভাবে আমে ছত্রাক লেগে গিয়েছিল৷ লকডাউনে আমচাষিরা সঠিকভাবে গাছের পরিচর্যা করতে পারেনি৷ ছত্রাকনাশক ও অনুখাদ্যের স্প্রে করা যায়নি৷ আজ সকালের ঝড়-বৃষ্টিতে অপুষ্ট আমগুলি ঝরে গিয়েছে৷ তবে যে আমগুলি বড়ো হয়েছে, সেই আমগুলির ক্ষেত্রে বৃষ্টি উপকারী৷ এই জেলায় বছরে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হওয়া সম্ভব৷ এবার ৩ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল৷ কিন্তু একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেলার আমচাষি ও আম ব্যবসায়ীরা পথে বসতে চলেছে৷ এই অবস্থায় আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের পাশে সরকারের দাঁড়ানো উচিত।
মালদা জেলার খবর ও বিনোদনের লেটেস্ট ভিডিয়ো আপডেট পেতে ক্লিক করুন
টপিকঃ #Norwesters
Comments