করোনা গবেষণায় দেহ দানের অঙ্গীকার মালদার যুবকের
বিশ্ব জুড়ে থাবা বসিয়েছে করোনা। এই মারণ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে প্রতিষেধক তৈরিতে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা। তবে শুধুমাত্র প্রতিষেধক তৈরি নয়। সেই প্রতিষেধকের প্রয়োগ করাও প্রয়োজন। তবে মানবদেহে সেই টিকা কাজ না করলে জীবন নিয়ে টানাটানি হতে পারে। সে সব জেনেও করোনার প্রতিষেধক প্রয়োগে নিজের শরীর কার্যত দান করেছেন মালদার এক যুবক।
মালদার বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট সালালপুর গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস বাইন (২৮)৷ ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিও করেন তিনি। বাবা শ্যামলচন্দ্র বাইন পেশায় শিক্ষক। মা খুকু বাইন গৃহবধূ। কয়েকদিন আগে দেবাশিস করোনা প্রতিষেধকের টিকা ব্যবহারে নিজের শরীর দান করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চে নথিভুক্ত করেছেন৷
দেবাশিস বলেন, গোটা বিশ্বে মহামারীর আকার নিয়েছে করোনা। বহু মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এখনও প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। কিন্তু এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক এখনও বেরোয়নি। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা সেই প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই প্রতিষেধক পরীক্ষা করতে মানব দেহের প্রয়োজন। সেই পরীক্ষার জন্য নিজেদের শরীর দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমি অনলাইনে আইসিএমআর-এ নিজের নাম নথিভুক্ত করেছি৷
[ আগের খবরঃ চাঁচলে রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের ]
ছেলের এই সিদ্ধান্তে খুশি তাঁর বাবাও। শ্যামলবাবু জানান, ছেলের এই সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। ছেলেকে দেখে অনেকেই হয়তো করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে আসবে। ছেলের সিদ্ধান্তে গর্ববোধ করছেন তাঁর মা খুকুদেবীও।
টপিকঃ #CoronaVirus
Comments