top of page

কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সকে গালিগালাজ-হুমকি, ধৃত দুই

আরজিকরের ঘটনার পর থ্রেট কালচার রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি সদর হাসপাতালগুলিও। এবার রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের অশ্লীল গালাগালি ও হুমকির অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার জেরে গ্রামীণ হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ১১টা নাগাদ বালুপুর এলাকার এক বাসিন্দাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অমরজিৎ গোস্বামী নামে ওই ব্যক্তির বাম হাতের আঙুল কেটে প্রবল রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। কর্তব্যরত চিকিৎসক আঙুলে সেলাই করে ওষুধ দিয়ে দেন। অভিযোগ, সেলাইয়ের সুতো কেন বাইরে থেকে কিনে আনতে হল, এই প্রশ্ন তুলে চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুরু করেন কয়েকজন। চিকিৎসক ও নার্সদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে অভিযুক্তরা। এমনকি কর্তব্য চিকিৎসক, নার্সদের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় রতুয়া থানায়। রতুয়া থানার পুলিশ হাসপাতালে ছুটে এসে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।


প্রতীকী ছবি।

চিকিৎসক অঙ্কুশ মণ্ডল জানান, ওই রোগীর বাম হাতের আঙুল থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই ওই রোগীর চিকিৎসা শুরু করা হয়। সেই সময় হাসপাতালে সেলাইয়ের সুতো ছিল না। গ্রামীণ হাসপাতালে সবসময় সব জিনিস মজুত থাকে না। রোগীর আত্মীয়দের সেই কারণে বাইরে থেকে সেলাইয়ের সুতো কিনে আনতে বলা হয়েছিল। বাকি সমস্ত ওষুধ হাসপাতালে মজুত ছিল। সেসব দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। খানিক বাদেই রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন প্রশ্ন তুলতে শুরু করে, কেন হাসপাতালে সেলাইয়ের সুতো নেই। আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ওদের প্রত্যেকের মুখ থেকে মদের গন্ধ বেরোচ্ছিল। বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুরো বিষয়টি বিএমওএইচ এবং বিডিওকে জানানো হয়েছে। আমাদের প্রায়শই এধরণের ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এক কথায় বলতে, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comentarios


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page