গনির গড়ে দুই ফুলের টক্কর
গনির গড়ে ঘাসফুল চাষের চেষ্টা করেছিলেন খোদ দলনেত্রী। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে কালীঘাটের ফুল ফোটেনি মালদায়। এমনকি লোকসভা ভোটে কোতোয়ালিতে ভাঙন ধরিয়ে মৌসমকে দলে টেনেও উত্তর মালদা হারতে হয়েছে গেরুয়া ব্রিগেডের কাছে।
তারপর মহানন্দা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। বাম-কংগ্রেসের ঘর ভেঙে একে একে বিরোধী বিধায়করা শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। রতুয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সমর মুখার্জি, গাজোলের সিপিএম বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস, মোথাবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, এমনকি হাত-হাতুড়ির সমর্থনে জেতা নির্দল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষও চলে আসেন তৃণমূলে। তবে এঁরা কেউই ভোট ময়দানে তৃণমূলের পরীক্ষিত সৈনিক নন।
চাকা আরও ঘুরছে। সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা দীপালি বিশ্বাস স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এখন অমিত শাহদের নৌকায় চড়েছেন। আবার গাজোলের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক সুশীলবাবুও এখন গৈরিক বাহিনীর সদস্য। গৌড়ভূমির রং যখন একটু একটু করে গেরুয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘদিন মালদায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক থেকেছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর হাত ধরেই ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন মালদায় তৃণমূলের তাবড় নেতানেত্রীরা। শুভেন্দুর নির্দেশেই মালদায় বহু পঞ্চায়েতের রং বদলে নীল-সাদা হয়েছিল রাতারাতি। এখন নীল-সাদা জামা ছেড়ে সেই শুভেন্দুই গেরুয়া বসন পরেছেন। আর এতেই জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনার ঝড় বইছে। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কোনো কোনো নেতা তৃণমূল লাইন ছেড়ে বিজেপির ব্যাট ধরবেন, তা নিয়ে উদ্বেগে রাজ্যের শাসকদলেও।
উদ্বেগের সুর ধরা দিয়েছে জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকেও। শাসকদলের জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের স্পষ্ট বক্তব্য, পুরো পরিস্থিতির ওপর আমরা নজর রাখছি।
এদিকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা কাজল গোস্বামী মালদায় ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন। জানুয়ারিতে মালদার জমি শক্ত করতে শুভেন্দু অধিকারী আসতে পারেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কাজল গোস্বামী। আর সে সময়ই শাসকদলে বড়ো ভাঙন প্রত্যক্ষ করা যাবে বলে আশা করছেন দাদার অনুগামীরা।
[ আরও খবরঃ করবস্থানের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরির অভিযোগ ]
বিজেপি যতই আশাবাদী হোক না কেন শাসকদলও মাটি কামড়ে লড়ছে। মালদা শহরে শাসকদলের যুব সংগঠনের বিপুল জমায়েত নুর ম্যানসনে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। তৃণমূল যুব’র জেলা সভাপতি প্রসেনজিত দাসের বক্তব্য, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন। উন্নয়নের পথে মালদাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাই জেলার মানুষ দিদির সঙ্গেই আছেন। ভোট বাক্সেও সেটাই প্রতিফলিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments