বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা
গতকালই রতুয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছিল দুই কিশোর। বিস্ফোরণের তীব্রতায় এক কিশোরের হাতের আঙুল পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই ঘটনায় এক নেতা সহ তৃণমূলের চার কর্মীকে গ্রেপ্তার করল রতুয়া থানার পুলিশ। ধৃতদের সাতদিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদনে আজ চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা তৃণমূলের সভাপতি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভুট্টার জমিতে ঘাস কাটতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত হয় রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের চাঁদমনি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হলদিবাড়ি গ্রামের সামির আখতার (১৩) ও মহম্মদ ইমতিয়াজ (৯)৷ বর্তমানে তারা মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন৷ এই ঘটনায় আহতদের পরিবারের তরফে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে শুরু করে রতুয়া থানার পুলিশ।
রতুয়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এজাবুল হক নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় উঠে আসে আরও কিছু নাম। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি আবুল কাশেম সহ তৃণমূলের দুই কর্মী জাকির হোসেন ও নজরুল ইসলামকে।

চাঁদমনি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মহম্মদ তারিফুল জানান, বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে কাশেমের বাড়ি ৫০০ মিটার দূরে, জাকিরের বাড়ি ও নজরুলের বাড়ি ৭০০ ও ৯০০ মিটার দূরে। পুলিশ কেন ওদের ধরল বুঝতে পারছি না৷ পুলিশ আগে ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখুক৷
এদিকে ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ জানান, গতকালের ঘটনার পর থেকে এলাকার সকলেই আতঙ্কিত৷ আমি নিজেও বাচ্চাদের সতর্ক করেছি। পুলিশ কি এসব বন্ধ করতে পারবে? গতকাল একটা ঘটনা ঘটেছে৷ ফের দেখা যাবে, পাঁচদিন পর একই ঘটনা ঘটছে৷ বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিৎ।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments