চিকিৎসক ও নার্সের ওপর চড়াও তৃণমূল নেতা, নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন
আরজিকরের ঘটনায় রাজ্যের প্রতিটি কোনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে হাসপাতালই থেকে ওই নেতাকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
ধৃত ব্যক্তির নাম অবিনাশ দাস। তিনি এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, গতকাল রাতে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান। সেখানে গালিগালাজ করে কোনও এক রোগীর খোঁজ করেন তিনি। প্রতিবাদ করায় নার্সিং-স্টেশনে ঢুকে এক নার্সকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন তিনি। মারধরের পাশাপাশি খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ছুটে এলে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করে মারধরের চেষ্টাও করা হয়।
আক্রান্ত নার্স বলেন, ওই ব্যক্তির পরিচিত কেউ হাসপাতালে ভর্তি আছেন৷ তিনি এসে চিকিৎসক ও নার্স না থাকার কারণ জানতে চান৷ তাঁকে জানাই, চিকিৎসক, নার্স সবাই রয়েছেন৷ হঠাৎ তিনি আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন৷ আমার দিকে তেড়ে আসেন৷ খুনের হুমকি দেন৷ আমার চিৎকারে পাশের রুমে থাকা মেডিকেল অফিসার আমাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন। ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গে থাকা এক মহিলা আমাদের উপর চড়াও হন৷ তবে তাঁরা আমাকে মারতে পারেননি৷ তার আগেই বেশ কিছু লোকজন এসে তাঁদের সরিয়ে দেন৷ আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? এটা তো নিয়মিত ঘটনা হয়ে গিয়েছে।
আক্রান্ত মেডিকেল অফিসার জানান, আমরা ডিউটিতে ছিলাম। নার্সরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি নার্সকে খুনের হুমকি দেন৷ শারীরিক নিগ্রহও করে৷ ভয় পেয়ে নার্স চিৎকার শুরু করলে আমরা সবাই দৌড়ে আসি৷ সেই ওই ব্যক্তি ওই নার্সের পাশাপাশি আমার ওপরেও চড়াও হন। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অবিনাশ দাসকে বহুবার মন্ত্রী তজমূল হোসেনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি আরজিকর ঘটনার প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও মন্ত্রীর পাশেই ছিলেন অবিনাশ। যদিও গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী তজমূল হোসেনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments