শংসাপত্র বদলের চেষ্টায় প্রশ্নের মুখে তৃণমূলি জেলাপরিষদ সদস্য
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জাতিগত শংসাপত্র বদলের চেষ্টার অভিযোগ মালদা জেলাপরিষদের তৃণমূলের সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। যদিও পুরো ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দোষারোপ করেছেন ওই জেলাপরিষদ সদস্য।
মালদা জেলাপরিষদের তৃণমূলের সদস্য প্রতিভা সিং। প্রথমে কংগ্রেসের কর্মী হলেও পরবর্তীতে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। জানা গিয়েছে, প্রতিভাদেবী সাধারণ শ্রেণিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন। এমনকি তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাধারণ শ্রেণির প্রার্থী হয়েই চাকরিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, গত ১৫ নভেম্বর জাতিগত শংসাপত্র বদলের আবেদন করেছেন প্রতিভাদেবী। সেই আবেদনে নিজেকে রাজপুতের বদলে রাজবংশী সম্প্রদায় হিসেবে দাবি করেছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা সভাধিপতির পদ তফশিলির জাতির জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। সেই পদের লোভেই প্রতিভাদেবী নিজের জাতিগত শংসাপত্র বদলের আবেদন করেছেন। তাঁকে নাকি সেই আবেদনে স্বীকৃতি দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি জানান,
প্রতিভাদেবীর পুরো পরিবারকে চেনেন তিনি। তাঁরা রাজপুত। তাঁদের পরিবারের কারো তফশিলি জাতির শংসাপত্র নেই। ভুল হলফনামা জমা করে প্রতিভাদেবী আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছেন। প্রশাসন কী করছে তা তাঁর জানা নেই। তবে তিনি জানেন প্রতিভাদেবী রাজবংশী নন। তিনি কেন এই কাজ করেছেন তাও তাঁর জানা নেই। এনিয়ে দলীয় নেতৃত্ব তাঁর কাছে জানতে চাইলে, বিষয়টি তিনি নেতৃত্বদের জানাবেন।
যদিও জাতিগত শংসাপত্র পরিবর্তনের আবেদনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রতিভাদেবী। তাঁর দাবি, তিনি এধরণের কোনো আবেদন করেননি। সরকারি ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য দেখাচ্ছে।
[ আরও খবরঃ সরকারি টাকা তছরূপ, সিল হল রাইস মিল ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments