লকডাউনের ভিন্ন ছবি দুই শহরে, সপ্তাহে দুদিন লকডাউনের ঘোষণা
দিনের পর দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। জেলায় এখন মোট সংক্রামিতের সংখ্যা ১৭১৮। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের। সংক্রমণ রুখতে জেলার বেশ কিছু অংশে বহাল রয়েছে লকডাউন। পরিস্থিতি সামলাতে এ বার থেকে গোটা রাজ্যে সপ্তাহে দু’দিন সম্পূর্ণ লকডাউন হবে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু মালদা শহরে লকডাউনের খানিকটা প্রভাব লক্ষ্য করা গেলেও পুরাতন মালদায় ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। যদিও এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেছেন বহু মানুষ।
করোনা সংক্রমণ রুখতে জেলার বেশ কিছু অংশে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। দিনের পর দিন সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে থাকলেও যেন হুঁশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের। মালদা শহরে লকডাউনের মিশ্র প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তবে পুরাতন মালদা শহরের ছবিটা যেন আলাদা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল এগারোটা পর্যন্ত শুধুমাত্র সবজি ও মাছের বাজার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরাতন মালদা শহরে মিষ্টি, চা, হার্ডওয়্যারের দোকানও খুলতে দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বিধি উড়িয়ে গা ঘেঁষাঘেষি বাজার করতে দেখা গেল পুরাতন মালদা শহরের বাসিন্দাদের। একই ছবি ধরা পড়েছে মালদা শহরের বাজারেও।
[ আরও খবরঃ এবার করোনার থাবা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ]
এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেছেন শহরের একাংশ। তাঁদের দাবি, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা প্রশাসন রাতের অন্ধকারে ঘোষণা করছে। লকডাউন থাকায় রাতে মানুষ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে না। তবে রাতে প্রশাসনের মাইকিং মানুষ শুনতে পাবে কি করে। প্রশাসনের উচিত ছিল সকালেই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মাইকিং করে জানানো। করোনা পরিস্থিতি সামলাতে এ বার থেকে গোটা রাজ্যে সপ্তাহে দু’দিন সম্পূর্ণ লকডাউন হবে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শনিবার হবে সম্পূর্ণ লকডাউন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত ২৯ জুলাই পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন বা দু'দিন রাজ্যজুড়ে কঠোরভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এ দিনের বৈঠকে। টপিকঃ #CoronaVirus #Lockdown
Comments