প্রাচীন রীতি মেনে শুরু হল ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা
নতুন বছরের তৃতীয় দিন ভোরে দুই বোনের দেখা হয়। দুই বোনের সেই মিলন দেখতে ভিড় জমান হাজারো মানুষ। ৪০০ বছরের পুরোনো এই রীতি মেনে আজও শুরু হয় গম্ভীরা উৎসব।
কথিত রয়েছে, বুড়িকালী-চামুণ্ডাকালীরা আদপে সাত বোন৷ সাত বোনের মধ্যে ঝগড়া সামাল দিতে না পেরে কোনো এক সময় পাঁচ বোনকে মহানন্দায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। থেকে যান দুই বোন বুড়িকালী ও চামুণ্ডাকালী। তবে এনিয়ে ভিন্ন মতবাদও রয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরের মতে, প্রায় চারশো বছর আগে এক সাধু মহানন্দার ঘাটে দুটি মুখোশ দেখতে পান৷ তিনি মুখোশ দুটি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলেও সফল হননি। অবশেষে স্বপ্নাদেশে বাচামারির দুই প্রান্তে দুই মায়ের মন্দির তৈরি হয়৷ একটিতে থাকেন বড়দিদি চামুণ্ডা। তাঁর গায়ের রং লাল। অপরটিতে থাকেন বোন বুড়িকালী। তাঁর গায়ের রং নিকষ কালো৷ রীতি অনুযায়ী গতকাল রাত থেকে গম্ভীরা শুরু হয়েছে। আজ ভোরে বুড়িকালী আর চামুণ্ডা মায়ের মুখোশ নাচ হয়েছে৷
পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানান,
বাচামারির মানুষজন এখনও প্রাচীন এই লোকসংস্কৃতি ধরে রেখেছেন৷ আশা করব, আগামীতেও তাঁরা এই লোকসংস্কৃতির সম্মান বজায় রাখবেন৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments