top of page

উর্দিধারীদের অমানবিকতায় মৃত্যু প্রৌঢ়ের, সাক্ষী থাকল হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন

অমানবিক ঘটনা। চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়া প্রৌঢ়কে ঘণ্টাখানেক প্ল্যাটফর্মে ফেলে রাখার অভিযোগ। এমনকি যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে জল পানের আর্জি জানালেও উর্দিধারীদের কেউ তাঁকে জলপান পর্যন্ত করাননি বলেও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উর্দিধারীদের অমানবিকতা ও গাফিলতির কারণেই ওই প্রৌঢ়র মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে রাধিকাপুর-হাওড়াগামী কুলিক এক্সপ্রেসে চেপে হরিশ্চন্দ্রপুর আসেন অজ্ঞাতপরিচয় ওই প্রৌঢ়৷ ট্রেন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর আগেই চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। তাঁর ডান পা আর ডান হাতের উপর দিয়ে ট্রেনের চাকা চলে যায়৷ ট্রেন যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে প্ল্যাটফর্মে রাখা হয়। অভিযোগ, এক ঘণ্টা সেখানেই ফেলে রাখা হয় তাঁকে৷ যন্ত্রণায় বারবার আর্ত চিৎকার করলেও রেল পুলিশ বা আরপিএফের কোনও জওয়ান তাঁর দিকে এগিয়ে যাননি৷ জলপানের কথা বলার পরও উর্দিধারীদের কেউ তাঁকে জলপান করাননি৷


এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রজব আলি। তিনি জানান, এক মিনিটের জন্য আমি কুলিক এক্সপ্রেস মিস করি৷ ট্রেন চলে যাওয়ার পর দেখি এক প্রৌঢ় লাইনের ধারে পড়ে রয়েছেন৷ তাঁর পা পুরো কেটে গিয়েছে৷ হাতও প্রায় সম্পূর্ণ কাটা পড়েছে৷ কিছু সময় পর স্টেশন থেকে দু’জন এসে ওই বৃদ্ধকে লাইনের ধার থেকে তুলে প্ল্যাটফর্মে রাখেন৷ কিন্তু তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। যাত্রীরা কিছু বলতে গেলে, ঘটনার ছবি তুলতে গেলে পুলিশ গালাগালি করে। ওই প্রৌঢ় জল খেতে চাইলেও পুলিশ তাঁকে জল দেয়নি। যাত্রীরা জল দিতে গেলেও তাদেরও বাধা দেয় পুলিশ।



রেলের এক ঠিকা শ্রমিক আবদুল সোহরাব জানান, কাজ শেষ করে আসার পর দেখি ওই প্রৌঢ় প্ল্যাটফর্মে শুয়ে রয়েছেন৷ জিআরপি এসে তাঁকে দেখে চলে যায়৷ আর কিছু করেনি৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি এক ঘণ্টা প্ল্যাটফর্মে পড়ে থাকতে থাকতে মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়র। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হওয়ার কারণেই ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে।

হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পরও মৃতদেহ নিয়ে জিআরপি ও আরপিএফের টানাপোড়েন শেষ হয়নি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


Comentarios


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page