বিধানসভার আগে হাথরাস ইশ্যুকে হাতছাড়া করতে নারাজ তৃণমূল
উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ১৯ বছরের দলিত মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন এবং পরে পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সারা দেশ ফুঁসছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হয়ে উঠেছে হাথরাস ইশ্যু। সেই ইশ্যুকে হাতিয়ার করে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামতে চলেছে শাসকদল। আজ দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নূর।
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু, সুমলা আগরওয়াল, কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার, অম্লান ভাদুরি , তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন সহ অন্যান্যরা। এদিন উত্তরপ্রদেশ কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একহাত নেন রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর।
জেলা সভানেত্রী মৌসম বলেন, হাথরাসের ঘটনা যেমন মর্মান্তিক, তেমনই নৃশংস৷ ওই দলিত যুবতিকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল৷ উত্তরপ্রদেশে একের পর এক এধরণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে৷ ওই রাজ্যের বিজেপি সরকার এসব ঘটনা রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ গতকাল মৃত যুবতির বাড়িতে যাওয়ার সময় আমাদের এক মহিলা সাংসদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রশাসন যে আচরণ করেছিল তা মেনে নেওয়া যায় না। পাশাপাশি সেখানে জনপ্রতিনিধিদের যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। করোনার অজুহাত দেখিয়ে সেখানকার পুলিশ এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা খবর পেয়েছি, মৃত যুবতির পরিবারকে কারোর সামনে মুখ না খোলার জন্য ভয় দেখানো হচ্ছে৷ সেখানকার জেলাশাসকও এমন হুমকি দিচ্ছেন৷
[ আরও খবরঃ করোনায় কড়িতে টান, পুজোয় তাল কেটেছে মজলিশের ]
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুমালা আগরওয়ালা জানান, হাথরাসের এত বড়ো ঘটনার পরেও প্রধানমন্ত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কেন্দ্রের গৃহমন্ত্রকেরই তথ্য অনুযায়ী এই দেশে প্রতিদিন ৮৭ জন মহিলা অত্যাচারিত হন৷ এর বাইরে কত ঘটনা ঘটে যার কোনো রেকর্ড থাকে না। হাথরাসের ঘটনায় গোটা দেশে যে জনরোষ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই৷ তৃণমূল নেত্রী এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে আজ রাস্তায় নেমেছেন৷ আমরাও রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে থাকতে চাই।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários