top of page

তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়েছে দুই শহর

গ্রাম তৃণমূলের, শহর বিজেপির৷ মালদার দুই লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলে সেটা স্পষ্ট৷ কারণ কী? রাজনৈতিক মহল বলছে, গ্রাম বাংলার মানুষ তৃণমূলের থেকেও এগিয়ে রেখেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে৷ তাঁদের কাছে দল নয়, বড় প্রতি মাসে এক হাজার টাকা৷ যে টাকাটা দিয়ে তাঁদের কেউ হয়তো ওষুধ কিনবেন, আবার কেউ ছেলেমেয়ের পড়াশোনায় খরচ করবেন৷ কিন্তু শহুরে মানুষের কাছে এবারের ভোটের মূল ইস্যু ছিল দুর্নীতি৷ চাকরি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে৷ শহরের মানুষ তারই জবাব দিয়েছে এই ভোটে৷ কিন্তু যেহেতু শহরের তুলনায় গ্রামের সংখ্যা বেশি, স্বাভাবিকভাবেই তার সুফল পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল৷


মালদার দুই লোকসভা কেন্দ্রে দুটি পৌরসভা৷ ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা৷ ইংরেজবাজারের একটি ওয়ার্ডেও এগোতে পারেনি ঘাসফুল৷ এমনকি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওয়ার্ডগুলিতেও৷ ২৯ ওয়ার্ডের এই পৌরসভায় শুধুমাত্র ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির৷ বাকি ২৮টিতেই এগিয়ে তারা৷ এই পৌরসভায় যেখানে বিজেপি ৭৯ হাজার ৮৪ ভোট পেয়েছে, সেখানে কংগ্রেস ও তৃণমূল পেয়েছে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৪৭১ ও ১৭ হাজার ৫৭০টি ভোট৷ একই ছবি পুরাতন মালদা পৌর এলাকাতেও৷ ২০ ওয়ার্ডের এই পৌরসভায় ১৮টিতেই এগিয়ে বিজেপি৷ শুধু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে কংগ্রেস৷ গোটা পৌর এলাকায় বিজেপির লিডের মার্জিন ২৭ হাজার ৫১৭ ভোট৷



এমনটা কেন হল? এখনই মুখ খুলতে নারাজ জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ তাঁরা এখন দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের কোপ থেকে কীভাবে বাঁচা যায়, তার উপায় বের করতে ব্যস্ত৷ ভোটের আগেই অভিষেক জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে যে এলাকায় দলীয় প্রার্থীর ভোট কমবে, তার দায় নিতে হবে সেই এলাকার দলীয় নেতৃত্বকে৷ এবারও এই জেলার দুটি আসনের কোনওটিতে খাতা খুলতে পারেনি ঘাসফুল৷ ফলে অভিষেকের ডাক আসা যে শুধু সময়ের অপেক্ষা, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন সবাই৷ তার মধ্যেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলাস্তরের নেতা জানালেন, “এবার গোটা রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছে৷ দক্ষিণবঙ্গের শহরগুলিতেও দলের ভোট বেড়েছে৷ কিন্তু মালদায় এমন হাল কেন বোঝা যাচ্ছে না৷ শুধু মালদা নয়, উত্তরবঙ্গের সব শহরেই এই ছবি৷ অথচ উত্তরবঙ্গের শহরবাসীও রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধে পাচ্ছে৷ তবু কেন তাদের মন পাওয়া যাচ্ছে না তা নিয়ে আমাদের পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে হবে৷”


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page