দুই পরিযায়ী শ্রমিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া চাঁচলে
জোড়া শ্রমিক মৃত্যু চাঁচলে। একই গ্রামে দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চাঁচল ২ ব্লকের ক্ষেমপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়।
করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে কাজ হারান বহু শ্রমিক। লকডাউনে মাস দুয়েক কর্মহীনতার পরে কোনোমতে ভিন রাজ্য থেকে জেলায় ফিরে আসেন বহু শ্রমিক। দেশ জুড়ে আনলক শুরু হতেই অনেকেই ফের ভিনরাজ্যে কাজে পাড়ি দেন। অনেকেই আবার করোনার ভয়ে বাড়িতেই থেকে যান।
লকডাউনের পরে ফের ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে যান দামু ওঁরাও। কাজ সেরে ওই রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। এই খবর বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী ও তিন পুত্রসন্তান। শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকাতেও। অন্যদিকে, লকডাউনে বাড়ি ফেরার পরেও করোনা আতঙ্কে আর ভিনরাজ্যে কাজে যাননি জগদীশ ঘোষ। দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় আর্থিক অভাব দেখা দিয়েছিল তাঁর সংসারে। কীভাবে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেবেন সেই চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। কয়েকদিন চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসার পর বাড়ি ফেরার পথে মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। জগদীশবাবুর পরিবারের স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রয়েছে।
এই দুই অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মালতিপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। এদিন তিনি ওই পরিবারগুলির বাড়িতে গিয়ে সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাঁদের হাতে কিন্তু আর্থিক অনুদান তুলে দেন। ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ওই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তথা চাঁচল ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদ্যুৎ সিনহা।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios