লকডাউনে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাম্বুলেন্সে মদ পাচার
লকডাউনে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে জেলাজুড়ে। জরুরি পরিসেবা ছাড়া বন্ধ করা হয়েছে সমস্ত দোকান। এরই মাঝে মদের কালোবাজারির অভিযোগ উঠল। আজ সকালে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিলিতি মদ পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধৃত দুই যুবক। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
সাতসকালে আইহো এলাকায় মালদা-নালাগোলা রাজ্যসড়কে হবিবপুর থানার পুলিশের নাকা চেকিং চলাকালীন একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে ১০০ লিটারের বেশি বিলাতি মদ উদ্ধার হয়। পুলিশ গাড়ি সহ মদের বোতলগুলি আটক করে। লায়ন্স ক্লাব অফ মালদা রাইজিং লেখা এই অ্যাম্বুলেন্স থেকে চালক ও দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
[ আগের খবরঃ বিনা চিকিৎসায় ছয় ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে পড়ে রোগী ]
হবিবপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু মুখার্জি জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে মালদা-হবিবপুর রাজ্য সড়কের আইহো এলাকায় স্পেশাল নাকা চেকিংয়ের সময় সন্দেহজনক অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করা হয়। ওই অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বিলিতি মদ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা ওই মদ কোথায় পাচার করছিল তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অলোক রাজোরিয়া, জেলা পুলিশ সুপার
অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও দুই ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ এদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
এদিকে লায়ন্স ক্লাবের তরফে তমাল দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, লায়ন্স ক্লাব অফ মালদা রাইজিং কোনও বৈধ সংস্থা নয়। তাঁদের লাইসেন্স অনেকদিন আগেই বাতিল করা হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স থেকে লায়ন্স ক্লাবের নাম সরিয়ে ফেলতে নোটিশও জারি করা হয়। এই অপ্রীতিকর ঘটনায় সংস্থার সুনাম বজায় রাখতে তাঁরা যথেষ্ট তৎপর। আজ লায়ন্স ক্লাব, ডিস্ট্রিক্ট ৩২২এফ-এর তরফে হবিবপুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে।
Comments