স্থায়ী উপাচার্য নিয়ে আশার আলো গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে
স্থায়ী উপাচার্য নিয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে শিক্ষামহল। অন্তত রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের স্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই ফুরফুরে মেজাজে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজ কর্তৃপক্ষগুলির পাশাপাশি পড়ুয়ারাও। স্থায়ী উপাচার্য পেলে পরিকাঠামোর পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থাতেও গতি আসবে বলে মনে করছেন সকলেই।
২০০৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মোট আটজন উপাচার্য গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। একমাত্র গোপা দত্ত ছাড়া বাকি স্থায়ী উপাচার্যরাও নিজেদের মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছেন। সাম্প্রতিক সময় রাজ্য ও রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগের সংঘাতে শিক্ষা-মহলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। অবশেষে গত ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশ দেয়। আবেদনকারীদের যোগ্যতার কথাও আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়।
স্থায়ী উপাচার্য থাকলে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কি কি পরিবর্তন আসতে পারে, এপ্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কমিটির প্রাক্তন সদস্য শক্তিপদ পাত্র জানান, “একমাত্র গোপা দত্তই তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ পরিকাঠামো তাঁর আমলে তৈরি কিংবা প্রোজেক্ট হওয়া। একজন স্থায়ী উপাচার্য নিজের পূর্ণ মেয়াদকালে অনেক কাজ শেষ করতে পারেন। যাঁদের নিয়ে উপাচার্য কাজ করবেন, তাঁরাও ভরসা পাবেন। কিন্তু উপাচার্যের স্থায়িত্ব নিয়েই প্রশ্ন থাকলে, কাজের গতি কিংবা ভরসা কিছুই লক্ষ্য করা যাবে না। তবে উপাচার্যের উপর ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সরাসরি খুব একটা নির্ভর করে না৷ কিন্তু পরীক্ষা ব্যবস্থা, বিভিন্ন কলেজে ইন্সপেকশন, কলেজগুলির চাহিদা উপাচার্য দেখা শোনা করায় ছাত্রছাত্রীরাও একদিক থেকে উপকৃত হন।
মালদা কলেজের অধ্যক্ষ মানসকুমার বৈদ্য জানান, বারবার উপাচার্য বদল হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গতি থমকে যায়৷ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য মে মাসে দায়িত্ব নিয়েছেন৷ তিনি ভালো কাজ শুরু করেছেন৷ কিন্তু এখন হঠাৎ তাঁকে সরে যেতে হলে সেই গতি ফের থমকে যাবে৷ স্বভাবতই স্থায়ী উপাচার্য পেলে সকলেরই সুবিধে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Komentáre