পঞ্চায়েত গঠনে ধুন্ধুমার, গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পালাল পুলিশ
গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি গাজোলে। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা পুলিশকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় একসময় পুলিশকে এলাকা ছেড়ে পালাতে হয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
গাজোল ব্লকের বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১২টি। ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৫টি, সিপিআইএম ৩টি, কংগ্রেস ২টি। ১টি করে আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি ও নির্দল প্রার্থী। ফলাফল ঘোষণার পর থেকে এলাকায় অভিযোগ উঠেছিল ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী দীপালি বেসরাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে। দীপালি বেসরাকে খুঁজে বের করার দাবিতে গত ৩১ জুলাই গাজোল থানা ঘেরাও করে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি৷ পুলিশের আশ্বাসে ঘেরাও মুক্ত করা হলেও এখনও পুলিশ দিপালী বেসরাকে উদ্ধার করতে পারেনি বলে অভিযোগ। এদিকে আজ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ছিল। সকালে জয়ী প্রার্থীরা পঞ্চায়েত দফতরের সামনে হাজির হন। ততক্ষণে পঞ্চায়েতের সামনে জমায়েত করেছেন হাজার খানেক ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী। অভিযোগ, ভিড় সড়াতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। এরপরেই ক্ষিপ্ত লোকজন পুলিশকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদের৷ আহত হন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সিপিআইএম, কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির সঙ্গে বিজেপিও একজোট ছিল৷ কিন্তু তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সেরাজুলের নেতৃত্বে এক জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়৷ পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও, পুলিশ টালবাহানা করে শুধু সময় নষ্ট করে। আন্দোলনের পরেও পুলিশ অপহৃত প্রার্থীকে উদ্ধার করেনি৷ তাই গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হঠাৎ আইসির নির্দেশে পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করে৷ পুলিশের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এতেই গ্রামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে জেলা পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী সহ আধিকারিকরাও।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments