বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে মালদার তিন নদীর জল
বর্ষার মরশুম শুরু হতেই জেলার সমস্ত নদীর জলস্তর বাড়ছে। ইতিমধ্যে বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে মহানন্দা নদীর জলস্তর। বিপদসীমার কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে ফুলহরের জলস্তরও। তবে এখনও সেচ দফতরের পক্ষ থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর।
এদিকে, রতুয়া-১ ব্লকের বিলাইমারি অঞ্চল ও মহানন্দটোলা অঞ্চলে গঙ্গা ও ফুলহর নদীর জলস্রোতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দু'দিনের ভাঙনে ১০০ বিঘা জমি গঙ্গার গর্ভে চলে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধের কাজ শুরু না হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে গ্রামবাসীদের। যে কোনো মুহূর্তে জমি নদী গর্ভে চলে যেতে পারে এই আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের।
[ আরও খবরঃ করোনার প্রভাবে সিল করা হল মঙ্গলবাড়ি ফাঁড়ি ]
গঙ্গা প্রতিরোধ বিষয়ক বিভাগের সদর মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আশুতোষ দত্ত জানিয়েছেন, মহানন্দা নদীর জল বিপদসীমা ছুঁয়েছে। তবে অতিরিক্ত বিপদসীমা অতিক্রান্ত করেনি। ফুলহর নদীর জল বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই এবং গঙ্গা নদীর জল বিপদসীমার থেকে কিছুটা নীচে রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনটি নদীর এখনো লাল সংকেত জারি করা হয়নি। উত্তরবঙ্গের এবং পাহাড়ের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে মহানন্দা নদীর জল আরও বাড়বে। অন্যদিকে বিহার, উত্তরপ্রদেশের বৃষ্টিপাত হলে ফুলহর এবং গঙ্গা নদীর জল বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় তিনটি নদীর উপর সংশ্লিষ্ট দফতর নজরদারি চালাচ্ছে।
Commentaires