বামেদের সম্প্রীতির মিছিল থামিয়ে দিল পুলিশ
আজ বাদুরিয়া কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্য জুড়ে সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা দিয়ে মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বামফ্রন্ট। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদিন বিকেলে মালদা শহরেও মিছিল করার প্রস্তুতি নেয় জেলা বাম নেতৃত্ব। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ শহরের নেতাজি মোড়ে জমায়েত হন বাম নেতা-কর্মীরা। ঠিক তখনই আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডুর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আইসি বাম নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা শহরের রাস্তায় কোনও রাজনৈতিক দলকে মিছিল বের কররে দেবেন না। এনিয়ে তাঁর সঙ্গে বাম নেতৃত্বের বাদানুবাদও হয়। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন আইসি। শেষে উপরমহলের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি নেতাজি মোড় থেকে ফোয়ারা মোড় পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি দেন। ফোয়ারা মোড়ে মিছিল আটকে দেওয়া হলে সেখানেই একটি পথসভা করে বাম নেতৃত্ব।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে বাম শিবিরের পক্ষ থেকে। রাজ্য সরকারকে স্বৈরাচারি বলে আক্রমণ করেছে বাম নেতৃত্ব। বাম নেতৃত্বের মন্তব্য, রাজ্য জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল সরকার।
আইসি জানান, উপরতলার নির্দেশ অনুযায়ী তিনি কোনও রাজনৈতিক দলকেই মিছিল করার অনুমতি দেবেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাজ্য সরকারই নেবে। তেমনটাই তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত ও পুলিশের এই তৎপরতায় ক্ষুব্ধ জেলা বাম নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, বামফ্রন্ট চিরদিনই রাজ্যে সম্প্রীতির পক্ষে লড়াই করে এসেছে। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশ তাঁদের মিছিল আটকে দিয়েছে। এভাবেই তাঁদের কর্মসূচি রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিপিআই-এর জেলা সম্পাদক তরুন দাস বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের কাজকর্ম সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের জমানার জরুরি অবস্থাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। আরএসপির জেলা সম্পাদক গৌতম গুপ্ত বলেন, এদিন মালদা শহরে একই ইশ্যুতে আরও কয়েকটি মিছিল বের হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ যেভাবে তাঁদের মিছিল আটকেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তিনি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments